বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় অবস্থিত বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি নিদর্শন গোকুল মেধ বৌদ্ধ মঠে স্বাগত জানাচ্ছি। গোকুল মেধ বগুড়া সদর থানার অন্তর্গত গোকুল গ্রামে খননকৃত একটি প্রত্নস্থল। স্থানীয়ভাবে এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই অধিক পরিচিত। অনেকে একে লক্ষ্মীন্দরের মেধও বলে থাকে। তবে এটি মূলত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ মঠ। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তররের মতে, আনুমানিক খৃষ্টাব্দ ৭ম শতাব্দী থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে এটা নির্মিত হয়। বলা হয়ে থাকে এখানে বেহুলার বাসর হয়েছিল। যা সেন যুগের অনেক পূর্বেকার ঘটনা। তবে বর্তমান গবেষকদের মতে, এ কীর্তিস্তম্ভ ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খৃস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৌদ্ধমঠ। এখানে বহু গর্তযুক্ত একটি ছোট প্রস্তর খণ্ডের সঙ্গে ষাঁড়ের প্রতিকৃতির একটি স্বর্ণ পত্র পাওয়া গিয়েছিল। এ থেকে ধারণা করা হয়, এটি একটি বর্গাকৃতির শিব মন্দির ছিলো। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ও হিউয়েন সাং তাদের ভ্রমণ কাহিনীতে এটাকে বৌদ্ধ মঠ রূপে উল্লেখ করেছিলেন বলে জানা যায়। আবার কোনো কোনো ঐতিহাসিক গ্রন্থে এই মেথকে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রূপে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি নির্মাণ করা হয়েছিল পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানীকে বাইরের শত্রু থেকে রক্ষা করার জন্য।